জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ (​ধুপখোলা মাঠ) দখল করে সেখানে মার্কেট ও পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

পূর্বের পরিকল্পনা হিসেবে গত ১০ জুন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা ও সিটি কর্পোরেশনের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হরিদাস মল্লিক মাঠের ভেতর ম্যাপ অনুযায়ী মাঠের চার কর্নারে খুঁটি বসান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে মাঠের মধ্যে মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনার বিষয়টি নজরে আসার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ দখলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল স্যারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, “গতকাল ১৬ জুন আমরা মাঠ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম, মাঠে যেয়ে সেখানে দায়িত্বরত যারা ছিলেন তাদের সাথে কথা হয়েছে কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ দখলের বিষয়ে ভিসি স্যার মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলবেন। এ ব্যাপারে দ্রুত সমাধান আসবে বলে আশাবাদী আমরা।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কাজী নুর হোসেন মুকুল স্যার মুঠোফোনে জানান, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাঠ দখলের ইস্যুটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে দেখতেছি। আমরা সকলেই জানি যে বিগত ৫/৬ বছর আমাদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন খেলাধুলা অনুষ্ঠান এখানে হয়ে আসতেছে এবং কি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন এই মাঠেই হয়েছিল, এই ধুপখোলার মাঠটি শুধু খেলার মাঠ নয় এটি আমাদের আবেগের যায়গা।

সিটি কর্পোরেশন আমাদের না জানিয়ে কেন কাজ শুরু করেছে সে ব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকে আমরা কোন উত্তর পাইনি। তাদের কাজ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে,যেহেতু এই যায়গা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেগের যায়গা আমাদের একটি অংশ এই মাঠ রক্ষার্থে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আমাদের যা করা লাগবে তাই করবো।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টের ১৪তম ব্যাচের ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষার্থী তাসমীম তাবাসসুম তন্না বলেন, আমরা কখনোই চাইবো না মাঠটা দখল হোক.পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ও আছে।

একই ডিপার্টমেন্ট এর ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাঈমুল হক বাপ্পী বলেন একজন খেলোয়ার হিসেবে অবশ্যই চাইবো মাঠ টা আমাদের থাকুক। কেননা এই মাঠটুকুই আমাদের জগন্নাথের
খেলোয়াড়দের একমাত্র স্বস্তির জায়গা। ভালোবাসার জায়গা আমাদের খেলাধূলার জন্য।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সহ সকলেই এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর সদ্বিহিত চাচ্ছে।